আমি ১৯৯২ সালের ৬ই জুন জয়পুরহাট নামক জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করি। এরপর থেকে সুখ-দুঃখের মাঝে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকি আমাদের ছোট সংসারে । আমরা এক ভাই এক বোন। আমি বড় আমার ছোট্ট একটি বোন আছে। আমার বয়স যখন ৫বছর তখন আমাকে ভর্তি করে দেওয়া হয়। আমাদের গ্রামের একটি স্কুলে যার নাম বালিঘাটা আদর্শ রেজীঃ বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে দীর্ঘ পাঁচ বছর পড়াশুনা করে । ৩রোল করে বের হলাম। মনে মনে অনেক ভালো লাগলো এই প্রথম আমি ভালো রেজাল্ট করলাম। তারপর চলে গেলাম হাইস্কুলে পাঁচবিবি পৌর উচ্চ বিদ্যালয়। এখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করলাম। তারপর অত্র স্কুলের সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করে চলে গেলাম মহিপুর হাজী মহসীন সরকারী কলেজ। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত উক্ত কলেজে আমি লেখাপড়া করলাম। পাঠকবৃন্দ্র আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি অযথা কেন এই সব কাহিনী আপন াদেরকে বলছি। আসলে আমি এই পাঁচবিবি তে ছোট থেকে আজ অবদি পর্যন্ত জন্ম দিয়ে গর্ভবোধ করি ।
কারণ কি নেই পাঁচবিবিতে বলুন। নামাজের জন্য আছে বিশাল একটা মসজিদ যা আমার জানা মতে বাংলাদেশের চতুর্থ বড় মসজিদ এটাই শেষ নয় এছাড়াও আছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্টেশন মসজিদ। আছে বিশাল একটা সরকারী হাইস্কুল এবং গালস্ স্কুল। এছাড়া মাওলানা আব্দুল হামিদ খাঁন ভাষানীর নিজ হাতে তৈরী একটি কলেজ ও একটি হাইস্কুল যে কলেজে বর্তমানে ৬ টি বিষয়ে অনার্স চালু আছে। দর্শনার্থীদের জন্য আছে লকমা রাজবাড়ি এবং পাথরঘাটা নামক প্রাচীন ঐতিয্য এছাড়া খ্রিস্টানদের জন্য আছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় মিশন। এসব মিলে আমি এই পাঁচবিবিতে জন্মগ্রহন করে নিজেকে গর্বিত মনে করি। মনে হয় আমি এই পাঁচবিবিতে যদি না জন্ম গ্রহন করি তাহলে আমি এমন অবস্থানে আজ থাকতে পারতাম না। আমাদের এই পাঁচবিবি থেকে একটি ত্রৈমাসিক সাহিত্য ম্যাগাজিন বের হচ্ছে যার নাম 'আলোকিত দৃষ্টি' আমি বর্তমানে এই সাহিত্য ম্যাগাজিনের নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে কর্মরত। সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয় আমি আমার বাংলা মায়ের কোলে জন্মগ্রহন করেছি এবং বাংলা ভাষায় লেখি এবং পড়ি। বাংলা ভাষা আজ আমাদের মাতৃভাষা। এছাড়াও পরাধীনতা থেকে আজ স্বাধীনভাবে স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহণ করেছি। এখন স্বাধীনভাবে নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারি পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে।
বর্তমানে আমি পাঁচবিবি ডিগ্রী কলেজে বিএস এস বিভাগে(দ্বিতীয়) বর্ষের ছাত্র। আমাদের কলেজে লেখালেখির সুবাধে কলেজের বাংলা স্যার সহ প্রায় সকল স্যারের সাথে একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাছাড়া প্রায়মারী তে ক্লাব, হাইস্কুলে স্বাউট এবং কলেজে উঠে রোভার এর লিডার থাকার কারনে সব মিলে স্কুল কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মেলামেশা ছিল অনান্য ছাত্র-ছাত্রীদের চেয়ে বেশী। বর্তমানে আমি সারাদেশে খ্যাতি লাভ না করলেও স্থানীয়ভাবে এই ১৮ বছর বয়সে যতটুকু খ্যাতি লাভ করা প্রয়োজন আমি মনে করি তা আমি করতে পেরেছি। শুধু যে ইহকাল এর মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছি তাও না । গ্রামের মসজিদে কখনও বা আজান দেওয়াম রমজান মাসে ইফতারির ব্যবস্থা করা ভোরে মাইক দিয়ে সেহরীর জন্য আহ্বান করা এমনকি ইত্তেকাফে থাকা এ সব থেকেও পিচপা থাকি না। এরই মধ্যে বছরে ২/১ টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করি গ্রামের তরুনদের নিয়ে আমাদের আদর্শ ক্রীড়া চক্র ও সাহিত্য কেন্দ্র, থেকে। এইতো গত ঈদুল ফিরতের দ্বিতীয় দিনে আয়োজন করলাম 'ঈদ পূর্ণমিলনী ও স্বাংস্কৃতিক সন্ধ্যা' উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করেছিলাম আমাদের পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব। উক্ত অনুষ্ঠানে ২০১১-২০১২ সালের জন্য আমাকে সাহিত্য ও স্বাংস্কৃতিক সম্পাদক এর দায়িত্ব থেকে উন্নতি হয়ে দায়িত্ব পেলাম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে। আশা করছি উক্ত দায়িত্বটিও ভালোভাবে পালন করবো। ইনশাআল্লাহ।
আর হ্যা প্রতিদিনটি পার হয় আমার বর্তমানে প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝে সকাল ৮ টায় ঘুম থেকে উঠে গোসল করে খাবার খেয়েই চলে যাই আমার কর্মস্থল 'প্রত্যাশা চাইন্ড হ্যাভেন কেজি স্কুল । ৬মাস হচ্ছে অত্র স্কুলে যোগদান করা। কম্পিউটার এবং স্কাউট শিক্ষক হিসাবে। স্কুল থেকে ১২ টায় ফিরে বাসায় এসে কিছু হাতের কাজ সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। তারপর ঘুম থেকে উঠে চলে যায় ইংরেজী প্রায়ভেট পড়ার জন্য। প্রায়ভেট শেষ করে চলে যায় কম্পিউটার দোকানে সেখান থেকে বাসায় ফিরি রাত্রী ৮ টায়। তারপর রাতের খাবার খেয়ে আবার বইয়ের দিকে কিছু চোখ বুলি। রাত্রী ১১ অথবা কোনদিন রাত্রী ১২ টায় ঘুমিয়ে পড়ি। এই তো আমার সংক্ষিপ্ত জীবন আপনারাই বলুন এই জীবন কি আমার গর্বের বিষয় নয় । আমি তো মনে করি সারাজীবন এভাবেই চললে আমি নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার চেয়ে ভালো জীবন যাপন করবো। তার পাশাপাশি করছি ছোট একটা পত্রিকার সাংবাদিকতার কাজ। এসব মিলে সত্যিই আমি অনেক সুখেই দিন রাত্রী পার করছি। সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার একটাই চাওয়া এভাবেই কিছু আনন্দ কিছু কাজের মধ্যে থেকে যেন আমি আমার বাঁকী জীবনটা কাটাতে পারি। প্রিয় পাঠক আপনাদেরকে ধন্যবাদ আমার এই নিকৃষ্ট ছোট গল্পটি পড়ার জন। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আজ এখানেই শেষ করছি কথা হবে আবারও পরের বিষয়ে। খোদা হাফেজ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আশা
ভালো লাগল আপনার জীবনবৃত্তান্ত। আপনার গর্ব দেখে খুব খুশি হলাম।
সূর্য
ফিরোজ, তোমার জীবন কাহিনীটা ভাল লেগেছে। বেশ কিছু শব্দে ই এর বদলে য় এসেছে এটা আগামী লেখায় খেয়াল রাখবে। আমি তোমাকে সর্বোচ্চ নম্বরে ভোট দিলাম। গল্প হিসাবে বিবেচনায় নিলে ৩এর বেশী পােবনা কিন্তু। আরো ভালো লিখ সেই প্রত্যাশায়ই দিলাম। আর পড়াশোনাটা যেন গর্ব নিয়ে শেষ করতে পারো......... দোয়া রইল।
এফ, আই , জুয়েল
# প্রথম কথা হলো লেখাটা খারাপ না । এর গতি ও ধারাবাহিকতা সুন্দুর ।কিন্তু এত এত বিষয়ে জড়িয়ে গেছ যে----, কোনটা দিয়ে হিট করে বেড়িয়ে যাবে , তা বলা মুশকিল । ধর্মের ব্যাপারটাও খুব আবেগী । আগে ধর্ম শেখা দরকার ।= সাহিত্য সাধনা কিন্তু খুব একটা সহজ না । একে এগিয়ে নিতে থাকো---- একদিন এই-ই তোমাকে এগিয়ে নেবে ।। Thanks.
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।